মুহাম্মদ শামসুল হক বাবু
বাহিরে আজ চাঁদকে অনেক সুন্দর লেগেছে,
যতবারই দেখেছি তোমায় নতুন নতুন লাগে –
ফেলে আসা যৌবন বয়সে বুঝি নি কেন আগে!
এতো বড় এতো সুন্দর তিলক রাতে দেখা যায়
ভালোবাসি আমি তোমায় দেখে প্রাণ জুড়ায়।
তুমিই আমার মায়াদেবীর চাঁদ পূর্ণিমারই ফাঁদ,
শত রাগেও মধুর লাগে তব ভেঙ্গে যায় বাঁধ –
ওহে কবিপত্নী তুমি ধরণীতলে মধু মালতীর চাঁদ।
বহুদূর থেকে তোমার সেই তিলক স্পষ্ট করেছি,
আমি বলি না দুষ্ট লোকে বলে ওই কলঙ্ক তিলক –
তব মোর নয়নে দৃষ্টি মেলে করেছে আমায় ঝলক।
নারী বলে ওহে চাঁদ- আমি তোমাকেই খুঁজি,
নর বলে তুমি চাঁদনি- হাজার তারার জ্যোতি –
তোকে পেলে রাজ্য ছেড়ে ভিখারি জ্বালায় বাতি।
ধলা চাঁদের তিলক দেখে আমার মনে পড়ে তাঁকে
কালো তিলকধারীকে স্মরণ করে জল ছবি আঁকে।
যতই হোক না ক্ষতি আমার বরণ করে নেব –
বুকের সব ভালোবাসা- বিলিয়ে তোমায় দেব।
চাঁদের সাথে চাঁদনির কথা কভু হয়নি কেন শেষ –
তুমি আছো বুকের উপর আহ লাগছে বড়ই বেশ।
বুকের মাঝে তোমার তিলক আমার বুকের বাঁকে
তোকে বঁধু করে এনে দিতে- বলব আমার মাকে।
গালের তিল গলার তিল আমার কাব্যের মালা –
সোনা দিয়ে গড়িয়ে দেব একজোড়া হাতের বালা।
চাঁদের বুকে চাঁদ লেগেছে তিলকের এত ঝলক –
তিল চুম্বন ঠোঁটে, খোঁপায় বেলীফুলের পালক।
এত দেখি এত লেখি তবু কথা হয় না কেন শেষ –
রাত পোহালে পাখি ডাকে ঘুম ভেঙে নিঃশেষ।